তাজমহলের ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন প্রফেসর পি.এন. অক (Professor
P.N. Oak– Taj Mahal: The True Story বই এর লেখক)। তিনি দাবী করেন যে
তাজমহল বেগম মমতাজ মহলের সম্মানে নির্মিত প্রেমের সমাধিস্থল নয়; বরং এটা
প্রাচীন দেবতা শিব (যাকে আগে বলা হত “তেজ মহালয়”) এর মন্দির যেখানে আগ্রার
রাতপুতরা পূজা অর্চনা করত!! পরে শাহজাহান একে তাঁর মৃত স্ত্রীর স্মরণে
স্মৃতিশালা হিসেবে গড়ে তোলেন। ইতিহাস অনুসন্ধানে তিনি দেখতে পান যে শিব মন্দিরটি সম্রাট শাহজাহান
অন্যায়ভাবে জয়পুরের মহারাজার (জয় সিং) কাছ থেকে দখল করেন। সম্রাট
শাহজাহান তাঁর নিজস্ব দিনপঞ্জীতেও (বাদশাহনামা)
উল্লেখ করেছেন যে, জয় সিং
এর কাছ থেকে আগ্রার এক চমৎকার প্রাসাদোপম ভবন মমতাজ মহলের সমাধিস্থলের জন্য
বেছে নেয়া হয়। এবং এর জন্য জয় সিংকে অনত্র জমিও দেয়া হয় সম্রাট
শাহজাহানের পক্ষ থেকে। “তাজমহল” নাম নিয়েও প্রফেসর অক সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মোগল
আমল (এমনকি সম্রাট শাহজাহানের আমলেও) দলিলাদি ও কোর্টের নথিপত্রে কোথাও
“তাজমহল” নাম উল্লেখ নাই! তাছাড়া ওই সময়ে কোন মুসলিম দেশে কোন
প্রাসাদ/ভবনের নাম “মহল” রাখার প্রচলন ছিল না! তাজমহল নাম এসেছে মমতাজ
মহল থেকে—এটাও তাঁর কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি দুইটি কারনে। প্রথমতঃ তাঁর
প্রকৃত নাম কখনই মমতাজ মহল ছিল না। দ্বিতীয়তঃ কেউ কারো নামে কোন প্রাসাদের
নামকরন করতে চাইলে তার নামের প্রথম দুই অক্ষর বাদ দিয়ে (মমতাজ থেকে “মম”
বাদ দিয়ে তাজ) নাম রাখবেন–এটাও সহজে মেনে নেয়া যায়না।
তিনি আরো বলেন, মমতাজ আর শাহজাহানের ভালবাসার গল্প মুলতঃ রূপকথা যা ওই
সময়ের লোকদের মুখ থেকে সৃষ্ট; কারন ওই সময়কার কোন সরকারী নথিপত্রে বা
গ্রন্থে মমতাজ-শাহজাহানের প্রেমের কথা উল্লেখ নাই।
পাশাপশি প্রফেসর অক কিছু ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেন যা প্রমাণ করে তাজমহল শাহজাহান শাসনামলের নয়!-
১। নিউ ইয়র্কের আর্কিওলজিস্ট মারভিন মিলার (Marvin Miller) যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন তাজমহলের দেয়ালের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে যে কার্বন পাওয়া যায় তা সম্রাট শাহজাহনের শাসনামলেরও ৩০০ বছরের পুরনো!
২। ইউরোপিয়ান পর্যটক যিনি ১৬৩৮ সালে আগ্রা ভ্রমন করেন (মমতাজ মারা যাওয়ার মাত্র সাত বছর পর) তিনি তার গ্রন্থে সেসময় তাজমহল তৈরির কোন সূত্র উল্লেক করেননি।
১। নিউ ইয়র্কের আর্কিওলজিস্ট মারভিন মিলার (Marvin Miller) যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন তাজমহলের দেয়ালের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে যে কার্বন পাওয়া যায় তা সম্রাট শাহজাহনের শাসনামলেরও ৩০০ বছরের পুরনো!
২। ইউরোপিয়ান পর্যটক যিনি ১৬৩৮ সালে আগ্রা ভ্রমন করেন (মমতাজ মারা যাওয়ার মাত্র সাত বছর পর) তিনি তার গ্রন্থে সেসময় তাজমহল তৈরির কোন সূত্র উল্লেক করেননি।
প্রফেসর অক তাজমহলের স্থাপত্যশৈলীর কিছু অসামঞ্জস্যতার কথা তুলে ধরে বলেন যে তাজমহল মুলতঃ হিন্দু মন্দির ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন তাজমহলের অনেক কামরাই শাহজাহানের আমল থেকেই তালবদ্ধ করে রাখা
হয়েছে যা এখনও জনসাধারনের অজানা রয়ে গেছে। প্রফেসর অক দৃঢ়তার সাথে দাবী
করেন যে ওই কামরাগুলোর একটাতেই আছে দেবতা শিবের মস্তকবিহীন মূর্তি যা
সচরাচর হিন্দুদের মন্দিরে দেখা যায়।
ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সংঘাতের আশংকায় ইন্দিরা গান্ধির সরকার প্রফেসর
অকের বই বাজার থেকে উঠিয়ে নেয় এবং ভারতে এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়।
তথ্যসূত্রঃ
এই ভিডিও টা বাংলাদেশ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তাই ভিডিও টা দেখার বিকল্প পথ।
http://ca.proxfree.com/permalink.php?url=yx%2BhnYCyg4s24iThgBXg7eD%2BgixM%2BhdmOP7qE3TZgUOklx%2FuVyB2cLg12dBTk2Itl5Racilw%2FRY%2BSY063SvFnQ%3D%3D&bit=1