ধর্মঃ-
ধারণাদ্ ধর্ম ইত্যাহুধর্মেণ বিধৃতাঃ প্রজাঃ।
যঃ স্যাদ্ ধারণসংযুক্তঃ স ধর্ম ইতি নেতরঃ ॥
অর্থাত্ ধারণ
ক্রিয়া (ধৃ+মন্) থেকে ধর্ম শব্দের উত্পত্তি। ধর্ম সৃষ্টিকে বিশেষভাবে
ধারণ করে রয়েছে ।সংক্ষেপে যা কিছু ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন, তাই ধর্ম, এছাড়া
অন্য কিছু ধর্ম নয়।
সনাতন ধর্মের লক্ষণ :- মনুসংহিতা অনুসারে নিন্মোক্ত চারটিকে বলা হয় মূলত সনাতন ধর্মের লক্ষণ ।
ক) বেদঃ- বেদ সনাতন ধর্মের মূল গ্রন্থ ।
বেদের ব্যাখ্যা হচ্ছে আরণ্যক ও উপনিষদ । শ্রীশ্রী গীতা হচ্ছে সমস্ত উপনিষদের সারবস্তু। সুতরাং বেদ বা গীতা বা উপনিষদে বিশ্বাস একজন সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রধান লক্ষণ।
বেদের ব্যাখ্যা হচ্ছে আরণ্যক ও উপনিষদ । শ্রীশ্রী গীতা হচ্ছে সমস্ত উপনিষদের সারবস্তু। সুতরাং বেদ বা গীতা বা উপনিষদে বিশ্বাস একজন সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রধান লক্ষণ।
খ) স্মৃতি:- বিভিন্ন স্মৃতি শাস্ত্রের অনুশাসন মানা যেমনঃ মনুসংহিতা, পুরাণসমুহ প্রভৃতি
গ) সদাচার:- মহাপুরুষদের সদাচার থেকে শিক্ষা নেয়া যেমন, রামায়নের রামচন্দ্র, মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ প্রমুখ।
ঘ) বিবেকের বাণী :- যেমন শরণাগত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনে মিথ্যা বলা।
*সনাতন ধর্মের বাহ্য লক্ষণঃ-
ধৃতিঃ ক্ষমা দমোহস্তেয়ং
শৌচমিন্দ্রিয়-নিগ্রহঃ।
ধীর্বিদ্যা সত্যমক্রোধো
দশকং ধর্মলক্ষণম্॥
(মনুসংহিতা)
অর্থাত্ সহিষ্ণুতা,ক্ষমা ,চুরি না করা ,শুচিতা ,ইন্দ্রিয়সংযম,শুদ্ধ
বুদ্ধি,জ্ঞান,সত্য এবং ক্রোধহীনতা-এইটি দশটি লক্ষণের মধ্যে সনাতন ধর্মের
স্বরূপ প্রকাশ পায়।
*সনাতন ধর্মের বিশেষ লক্ষণ:
বৈষয়িক দর্শনে বলা হয়েছে-যতোহভ্যুদয়-নিঃশ্রেয়সিদ্ধি সঃ ধর্মঃ ॥
অনুবাদঃ যা থেকে জাগতিক কল্যাণ ও মোক্ষলাভ হয়-সেটিই ধর্ম।
*যারা সনাতন ধর্ম না জেনে ধর্ম ত্যাগী হচ্ছে তাদের প্রতি সুস্পষ্ট
নির্দেশ:ধর্ম এব হতো হন্তি,ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ।(ধর্ম নষ্ট হলে সে
ধর্মনষ্টকারীকে নাশ করে;আর রক্ষিত হলে তাকে রক্ষা করে)
সুতরাং সনাতন ধর্ম মানেই তো মানবতা ধর্ম; এরপরও যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী
হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে তাদের নিজেদের মহিমান্বিত
ধর্ম বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই এ কথা অকপটে বলা যায়..