ওঁ এর পরিচয় কম বেশি আমরা সবাই জানি। ওঁ কে বলা হয়ে থাকে অক্ষরব্রহ্ম। শুধু সনাতন ধর্মেই নয়, সকল ধর্মে, সকল ঐশ্বরিক কিছুর মাঝেই রয়েছে এর অবস্থান।
হিন্দুরা তাদের সকল মন্ত্র এবং শ্লোক উচ্চারণ করতে এর ব্যবহার করে থাকেন। ঊপনিষদেও বর্ণিত আছে এর মহাত্ম্য।
খ্রিস্টান এবং ঈহুদীগণ পরম ভক্তি বুঝাতে যে “আমেন” ব্যবহার করে থাকেন তাও এই ওঁ এরই পরিবরতিত রুপ।
মুসলমানরা একে “আমিন” হিসেবে ব্যবহার করে।
এমনকি শিক ধর্ম ও প্রতিষ্ঠীত “ইক ওমকার” বা এক ওম (ওঁ) এর ভিত্তিতে।
ইংরেজীতে “omni” শব্দটা কোন কিছুর বিশালতা, অসীমতা বুঝাতে ব্যবহার করা হয়, সেটা এই ওঁ “” থেকেই আগত। যেমনঃ omnipresent, omnipotent ইত্যাদি।
ওঁ এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় বেদে। এবং পরবর্তিতে উপনিষদে এর কথা বলা হয়। যজুর্বেদের ২;১৩, ৪০;১৫, ৪০;১৭ এবং ঋগবেদ ১;৩;৭ এ ওঁ এর উল্লেখ আছে।
মান্ডুক্য উপনিষদ কেবল ওঁ এর মহাত্ম্য বর্ণনাতে উৎসর্গ।
মান্ডুক্য উপনিষদ কেবল ওঁ এর মহাত্ম্য বর্ণনাতে উৎসর্গ।
বৈদিক সাহিত্যে ওঁ কে ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ নাম এর স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। (যোগ দর্শণ ১;২৭-১;২৮)
উচ্চারণের সময় এর তিনটি অংশ পাওয়া যায়। অ, উ, ম ।এই তিন বর্ণ দ্বারা কী বোঝানো হয় তা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আছে। খোদ বোর্ডের ধর্ম বইয়েও ভুল তথ্য আছে। আসুন আমরা জেনে নেই প্রকৃতপক্ষে এই তিন বর্ণ দ্বারা কি বোঝানো হয়:
অ-বিরাট, অগ্নি এবং বিশ্ব।
উ-হিরণ্যগর্ভ, বায়ু এবং তৈজস।
ম-ঈশ্বর, আদিত্য এবং প্রাজ্ঞ।
অ-বিরাট, অগ্নি এবং বিশ্ব।
উ-হিরণ্যগর্ভ, বায়ু এবং তৈজস।
ম-ঈশ্বর, আদিত্য এবং প্রাজ্ঞ।
আশা করি এ নিয় ভুল ধারণা দূর হবে। নমস্কার।
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ
ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ