শ্রীমদ্ভগবদগীতা বহু প্রাচীন কাল থেকে একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে
সমাদৃত হয়ে আসছে । আজ থেকে হাজার হাজার বছর পূর্বে দ্বাপর যুগে শ্রীগীতার এ
অমিয় বাণী কুরুক্ষেত্রের ধর্মযুদ্ধে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অগ্রহায়ণ
মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে অর্জুনকে ব্যক্ত করেছিলেন । কৃষ্ণদ্বৈপায়ন যিনি
মহর্ষি ব্যাসদেব নামে সমধিক পরিচিত তিনি মহাভারত রচনা করে এই কথোপকথন
ভীষ্ম পর্বের ২৫ অধ্যায় হতে ৪২ অধ্যায় পর্যন্ত সপ্তশতী শ্লোকে অন্তর্ভূক্ত
করেন । মহর্ষি শংকরাচার্য সর্বপ্রথম মূল মহাভারতে নিহিত শ্রীগীতা অংশের
কোনরূপ বিকৃত না করে পরম যত্নসহকারে প্রতিটি অধ্যায়কে হুবহু চয়ন করে একটি
পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থরূপে শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রবর্তন করেন । অবশ্য
শ্রীগীতার উত্পত্তি আর ও অনেক প্রাচীন । শ্রীমদ্ভগবদগীতার ৪র্থ অধ্যায়ের
প্রথম শ্লোকে এর উত্পত্তি ও ইতিকথা সর্ম্পকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে ।
ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্ ।
বিবস্বান্মনবে প্রাহ মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীত্ । ৪/১
অনুবাদ :
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন - আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বানকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ করেছিলাম । সূর্য তা মানব জাতির জনক মনুকে বলেন এবং মনু তা ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন ।
শ্রীমদ্ভগবদগীতার উত্পত্তি ইতিহাস অতি পুরাতন । পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই শ্রীগীতার ইতিহাস বর্ণনা করেছেন । সূর্যকে একটি শক্তিরূপে কল্পনা করে প্রাচীন কাল থেকে তাকে দেবতা হিসেবে মনে করা হত। তিনি সকল গ্রহের রাজা । অশেষ তেজবিশিষ্ট এবং জগতের চক্ষুস্বরূপ । মানুষ যেমন চক্ষু ব্যতীত কোন কিছু দেখতে পায়না তেমনি সূর্য ছাড়া সারা পৃথিবী অন্ধকার । তিনি অন্যান্য গ্রহকে তাপ ও আলো দান করেন । ভগবান অতি কৃপা করে প্রথম শিষ্যরূপে সূর্যদেব (বিবস্বান)কে গ্রহণ করেন এবং তাকে শ্রীমদ্ভগবদগীতার সমুদয় জ্ঞান করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বিবস্বানের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রহের রাজাদেরকেও তা দান করেছিলেন ।পৃথিবীতে যখন ত্রেতা যুগ শুরু হয় তখন তার প্রারম্ভে ভগবত্তত্ত্ব জ্ঞান বিবস্বান (সূর্যদেব) মানব জাতির জনক মনুকে দান করেন । মনু পরবর্তীকালে এই তত্ত্বজ্ঞান তার পুত্র সসাগরা পৃথিবীর অধিশ্বর এবং রঘু বংশের জনক ইক্ষ্বাকুকে দান করেন । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে রঘু বংশে শ্রীরামচন্দ্র আর্বিভূত হন । অতএব এই শ্রীগীতার তত্ত্ববাণীর জ্ঞান শুরু থেকে শিষ্যতে পরম্পরাক্রমে ধারাবাহিকভাবে প্রচারিত ও প্রবাহিত হয়ে আসছে । কিন্তু এক সময় এই পরম্পরা ছিন্ন হয়ে যায় এবং এই জ্ঞান আমরা হারিয়ে ফেলি । তাই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজে এসে আবার এই জ্ঞান দান করলেন ।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন সূর্যদেব বিবস্বনকে শ্রীমদ্ভগবদগীতা শোনান তখন অর্জুনও অন্যকোন রূপে সেখানে উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু ভগবানের সাথে পার্থক্য হচ্ছে যে , অর্জুন তা ভুলে গেছেন । কিন্তু ভগবান তা ভোলেন নি । তাই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীগীতার ৪র্থ অধ্যায়ের ৫ম শ্লোকে বলেছেন-
বহূনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন ।
তান্যহং বেদ সর্বাণি ন ত্বং বেত্থ পরন্তপ ॥ ৪/৫
অনুবাদ
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন - হে পরন্তপ অর্জুন, আমার এবং তোমার বহু জন্ম অতীতে হয়েছে । আমি সেই সমস্ত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারি কিন্তু তুমি তা পারো না ।
মানুষ কথনো পূর্ব জন্মের ঘটনা প্রবাহ জানতে পারেনা । তাই দ্বাপর যুগে অর্জুন কুরুক্ষেত্রের ধর্মযুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার বিপক্ষীয় কুরুবংশের আত্মীয় স্বজনদের বধ করে রাজ্য লাভ করতে কিছুতেই রাজী হচ্ছিলেন না । কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেই পূর্বে প্রচারিত শ্রীমদ্ভাগবদগীতার বাণী পুনরায় শোনানোর কারণে অর্জুনের জ্ঞান ফিরে আসে এবং ধর্মযুদ্ধ করতে মনস্থির করলেন ।
তথ্যসূত্র রথযাত্রা
ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্ ।
বিবস্বান্মনবে প্রাহ মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীত্ । ৪/১
অনুবাদ :
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন - আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বানকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ করেছিলাম । সূর্য তা মানব জাতির জনক মনুকে বলেন এবং মনু তা ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন ।
শ্রীমদ্ভগবদগীতার উত্পত্তি ইতিহাস অতি পুরাতন । পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই শ্রীগীতার ইতিহাস বর্ণনা করেছেন । সূর্যকে একটি শক্তিরূপে কল্পনা করে প্রাচীন কাল থেকে তাকে দেবতা হিসেবে মনে করা হত। তিনি সকল গ্রহের রাজা । অশেষ তেজবিশিষ্ট এবং জগতের চক্ষুস্বরূপ । মানুষ যেমন চক্ষু ব্যতীত কোন কিছু দেখতে পায়না তেমনি সূর্য ছাড়া সারা পৃথিবী অন্ধকার । তিনি অন্যান্য গ্রহকে তাপ ও আলো দান করেন । ভগবান অতি কৃপা করে প্রথম শিষ্যরূপে সূর্যদেব (বিবস্বান)কে গ্রহণ করেন এবং তাকে শ্রীমদ্ভগবদগীতার সমুদয় জ্ঞান করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বিবস্বানের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রহের রাজাদেরকেও তা দান করেছিলেন ।পৃথিবীতে যখন ত্রেতা যুগ শুরু হয় তখন তার প্রারম্ভে ভগবত্তত্ত্ব জ্ঞান বিবস্বান (সূর্যদেব) মানব জাতির জনক মনুকে দান করেন । মনু পরবর্তীকালে এই তত্ত্বজ্ঞান তার পুত্র সসাগরা পৃথিবীর অধিশ্বর এবং রঘু বংশের জনক ইক্ষ্বাকুকে দান করেন । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে রঘু বংশে শ্রীরামচন্দ্র আর্বিভূত হন । অতএব এই শ্রীগীতার তত্ত্ববাণীর জ্ঞান শুরু থেকে শিষ্যতে পরম্পরাক্রমে ধারাবাহিকভাবে প্রচারিত ও প্রবাহিত হয়ে আসছে । কিন্তু এক সময় এই পরম্পরা ছিন্ন হয়ে যায় এবং এই জ্ঞান আমরা হারিয়ে ফেলি । তাই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজে এসে আবার এই জ্ঞান দান করলেন ।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন সূর্যদেব বিবস্বনকে শ্রীমদ্ভগবদগীতা শোনান তখন অর্জুনও অন্যকোন রূপে সেখানে উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু ভগবানের সাথে পার্থক্য হচ্ছে যে , অর্জুন তা ভুলে গেছেন । কিন্তু ভগবান তা ভোলেন নি । তাই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীগীতার ৪র্থ অধ্যায়ের ৫ম শ্লোকে বলেছেন-
বহূনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন ।
তান্যহং বেদ সর্বাণি ন ত্বং বেত্থ পরন্তপ ॥ ৪/৫
অনুবাদ
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন - হে পরন্তপ অর্জুন, আমার এবং তোমার বহু জন্ম অতীতে হয়েছে । আমি সেই সমস্ত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারি কিন্তু তুমি তা পারো না ।
মানুষ কথনো পূর্ব জন্মের ঘটনা প্রবাহ জানতে পারেনা । তাই দ্বাপর যুগে অর্জুন কুরুক্ষেত্রের ধর্মযুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার বিপক্ষীয় কুরুবংশের আত্মীয় স্বজনদের বধ করে রাজ্য লাভ করতে কিছুতেই রাজী হচ্ছিলেন না । কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সেই পূর্বে প্রচারিত শ্রীমদ্ভাগবদগীতার বাণী পুনরায় শোনানোর কারণে অর্জুনের জ্ঞান ফিরে আসে এবং ধর্মযুদ্ধ করতে মনস্থির করলেন ।
তথ্যসূত্র রথযাত্রা