প্রশ্নঃ ঋষি শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ বিশুদ্ধ স্বভাব ব্যক্তি
অগ্রে বিশুদ্ধ চিত্ত হও তোমার শক্তি আসিবে। কেবল আমি ঋষি বললেই চলিবে না। কিন্তু তুমি যখন ঋষিত্ব লাভ করিবে তখন তুমি দেখিবে যে, অপরে তোমার কথা কোন না কোন ভাবে শুনিতেছে। তোমার ভেতর হইতে এক আশ্চর্য বস্তু আসিয়া অপরের মনের উপর প্রভাব বিস্তার করিবে। তাহাতে তাহারা বাধ্য হইয়া তোমার অনুবর্তী হইবে। তোমার
কথা শুনিবে, এমনকি তাহাদের অজ্ঞাতসারে তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমার সংকল্পিত কার্যসিদ্ধির সহায়ক হইবে। ইহাই ঋষিত্ব।
----------------------------------------------------------------------------------
আমার একটা পোষ্ট এ আমি লিখেছিলাম; অসুর, মানুষ, সাধক, ঋষি, দেবতা ও ভগবান এই ধাপ গুলির মধ্যবর্তী ব্যবধান হলো গুন, জ্ঞান ও উপলব্ধি। আজ স্বামীজির এই উক্তি পরে আমি আরো নিশ্চিত হতে পারলাম। প্রতিটা মানুষের মধ্যেই অসীম ক্ষমতা রয়েছে। আত্মার শক্তি অসীম। আমরা আত্মজ্ঞান উপলব্ধি করতে পারি না বলেই ধাপ গুলিকে পার করতে পারি না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে জ্ঞান, গুন ও আত্মজ্ঞান উপলব্ধি অর্জনের।
ঋষি শক্তির ক্ষয় হয়েছিলো বলেই আমরা সত্য থেকে ত্রেতা, ত্রেতা থেকে দ্বাপর, দ্বাপর থেকে কলি কালে প্রবেশ করেছি। এই ঋষি শক্তি অর্জনের মধ্য দিয়েই আমদের সেই স্থানে পৌঁছাতে হবে যে স্থানে আমাদের ঋষিরা বিচরণ করতেন, অর্থাৎ সত্য যুগে। ক্ষয়িষ্ণু উপলব্ধি আমাদের স্থলন ঘটিয়েছে, আমরা ঋষি শক্তি অর্জন করেই পুনরায় হারানো অবস্থানে ফিরে যাবো। এই কাজ করবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত মঞ্চ আমাদেরই তৈরি করে দিতে হবে।
তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আপনারা ভূমিকা রাখুন সেই উপযুক্ত মঞ্চ সৃষ্টি করতে।
ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন
গর্বের সাথে বলুন আমি হিন্দু