এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই ধর্ম নিয়ে নানা সংশয়ে ভোগে। কোনটা ধর্ম, কোনটা অধর্ম; সেই ধর্ম কোথা থেকে এলো- এই সব নিয়ে আমাদের মধ্য কৌতূহলে শেষ নেই। যদি আপনাকে প্রশ্ন করে হয় যে, আপনার কাছে ধর্মের প্রকৃত সংজ্ঞা কি? তবে আপনার উত্তর কি হবে, সেটা বিবেচনা করে দেখুন। মূলত, আমাদের যা নেই; তাই আমরা ঈশ্বরের কাছে চাই। ভয়, বিপদ, বাধা কাটিয়ে ওঠার জন্য ঈশ্বরই আমাদের আশ্রয় হয়ে ওঠে। আর, এটাও ঠিক যে- অভীষ্ট লাভের জন্য দেবতার আশ্রয় নিতে গেলে তার জন্য কিছু ত্যাগ স্বীকার, কিছু ব্রত, নিয়ম, সংযম আর কিছু বস্তু উপহারের মাধ্যমে ঈশ্বরকে তুষ্ট করার চেষ্টাটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য পড়ে। আমাদের বৈদিক সনাতন ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে প্রধানত এই ভাবনা থেকেই। বেদে দেবতা অনেক, মানুষের চাওয়াও অনেক। তাকেই একটা সংযত রূপ দেবার জন্য যাগ-যজ্ঞ, নিয়ম- সংযমের প্রক্রিয়া। অথ্যাৎ, অস্তিত্বের বহু ঊর্ধ্বে উঠে স্রষ্টাকে একটু নেড়েচেড়ে দেখার প্রচেষ্টা। নিজের চাওয়া পাওয়ার জন্য সেই যে বিশাল নিয়ম-আচার বা কর্মের প্রথা তৈরি হয়েছিল- তা আজও শেষ হয়নি। কিন্তু, মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিমুহূর্তে সেই আচার অনুষ্ঠান পরিবর্তন হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন ধর্মের, নতুন নতুন মতের।
শুধুমাত্র ভারতবর্ষেই ধর্ম ব্যাপারটা ভীষণ রকমের পরিবর্তনশীল এবং বৈচিত্র্যর জায়গা। সত্যিকার অর্থে ধর্মের তত্ত্ব আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে; কিন্তু ধর্মের মর্ম কতজন জানতে পেরেছে? আর সেইজন্যই আমাদের এই
ভারতবর্ষে 'ধর্ম' এক শ্রেণীর মানুষকে বানিয়েছে 'অসহায়' এবং আরেক শ্রেণীর মানুষকে বানিয়েছে 'terrorist অথ্যাৎ জঙ্গি'।
প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা উল্টালেই আমাদের চোখে পড়ে ধর্মের নামে গুজব ছড়িয়ে তথাকথিত “ধর্ম রক্ষাকারী”দের নিপীড়ন আর ধ্বংস যজ্ঞ। ধর্মের নামে মুহূর্তেই তারা পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে অন্যের উপাসনালয় ও সাজানো ঘর। বাংলা ভাষায় যাকে বলে “সংখ্যালঘু নির্যাতন”। এগুলো কি আদ্যও কোন ধর্মের নমুনা???
অথচ, আমাদের সনাতন ধর্ম শিক্ষা দিচ্ছে- “তোমার কাছে যে অন্যায়টা অন্য করলে তোমার খারাপ লাগে, কষ্ট লাগে, সেই অন্যায়টা তুমি অন্য কোন মানুষের ওপর করো না। যে মানুষ নিজে বেঁচে থাকতে চায়, সে যেন কখনোই অন্যের জীবন নষ্ট না করে।” আমাদের ধর্মের সংক্ষিপ্ত উপদেশ এটাই- “তোমার নিজের যেটা ভালো লাগছে না, সেটা তুমি অন্যের উপর প্রয়োগ করো না।”
তাহলে, আজ আমাদের চারিদিকে কোনটি ধর্ম, আর কোনটি অধর্ম- আপনারাই তার সঠিক মূল্যায়ন করে দেখুন......
ভারতবর্ষে 'ধর্ম' এক শ্রেণীর মানুষকে বানিয়েছে 'অসহায়' এবং আরেক শ্রেণীর মানুষকে বানিয়েছে 'terrorist অথ্যাৎ জঙ্গি'।
প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা উল্টালেই আমাদের চোখে পড়ে ধর্মের নামে গুজব ছড়িয়ে তথাকথিত “ধর্ম রক্ষাকারী”দের নিপীড়ন আর ধ্বংস যজ্ঞ। ধর্মের নামে মুহূর্তেই তারা পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে অন্যের উপাসনালয় ও সাজানো ঘর। বাংলা ভাষায় যাকে বলে “সংখ্যালঘু নির্যাতন”। এগুলো কি আদ্যও কোন ধর্মের নমুনা???
অথচ, আমাদের সনাতন ধর্ম শিক্ষা দিচ্ছে- “তোমার কাছে যে অন্যায়টা অন্য করলে তোমার খারাপ লাগে, কষ্ট লাগে, সেই অন্যায়টা তুমি অন্য কোন মানুষের ওপর করো না। যে মানুষ নিজে বেঁচে থাকতে চায়, সে যেন কখনোই অন্যের জীবন নষ্ট না করে।” আমাদের ধর্মের সংক্ষিপ্ত উপদেশ এটাই- “তোমার নিজের যেটা ভালো লাগছে না, সেটা তুমি অন্যের উপর প্রয়োগ করো না।”
তাহলে, আজ আমাদের চারিদিকে কোনটি ধর্ম, আর কোনটি অধর্ম- আপনারাই তার সঠিক মূল্যায়ন করে দেখুন......